মেহগনি গাছের বীজের ১০ টি উপকারিতা

 
মেহগনি গাছের বীজের ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। মেহেগুনি গাছের উপকারিতা এবং তার অপকারিতা আমাদের সকলেরই জানা প্রয়োজন। মেহগনি কাছে রয়েছে প্রাকৃতিক ভেষজ ঔষধে ভটি রপুর যা আমাদের প্রাচীন যুগ থেকে ব্যবহার করে আসছে।
মেহগনি-গাছের-বীজের-১০-টি-উপকারিতা
বিভিন্ন ধরনের রোগ সারানোর জন্য মেয়েগুনের বীজ খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। আসুন জেনে নেওয়া যাক মেহগনি গাছের বীজের ১০ টি উপকারিতা।
আরো পড়ুনঃগাঁদা ফুল চাষের পদ্ধতি

পেজ সূচিপত্রঃ

মেহগনি গাছের ১০ টি উপকারিতা

আমরা কমবেশি সবাই জানি মেয়ে গুনি গাছের উৎপত্তি উত্তরে আমেরিকার অঞ্চল গুলোতে। বিশেষ করে মেহগনির গাছের আদি নিবাসী হিসেবে পশ্চিম ভারতের দ্বীপগুলোতে প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। মেহগনি গাছের ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে আজকে এর আর্টিকেলটি রাইটিং করেছি।

আজকে এটার মাধ্যমে জানতে পারবেন মেহগনি গাছের কি কি উপকার রয়েছে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মেহগনি গাছের ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে।
  • পোকা দমন করে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
  • রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • জ্বর ও ঠান্ডা নিরাময়ের কাজ করে
  • একজিমা জন্য ভালো কাজ করে
  • হাইপার টেনশন দূর করে
  • ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
  • ঋতু সাবের ব্যথা কমায়
  1. পোকা দমন করেঃপোকা দমনকারী কিট নাশক হিসেবে  মেহেগুনি ব্রিজের অনেক সুনাম রয়েছে।মেহেগুনি গাছের বীজের পাউডার তৈরি করে কোন কিছুর ওপর এক্সরে করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। বিশেষ করে ফসলে এক্সরে করলে খুবই ভালো উপকার পাওয়া যায। গ্রীষ্মকাল অনেক পোকামাকড়ের সংক্রমণ দেখা দিয়ে এই সময়  থাকে মেহেগুনি বীজের ভালো কীটনাশক  হিসেবে কাজ করে থাকে । 
  2. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃডায়াবেটিসের রোগের জন্য মেঘ এখনি বিষ খুবই উপকারী একটি উপাদান। প্রতিদিন মেহগনি গাছের বীজের গুঁড়া নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
  3. রক্তে জমাট বাধতে সাহায্য করেঃআপনি জানলে অবাক হবেন যে মেয়েগুলি গাছের বীজ এ রয়েছে এমন একটি উপাদান যা আপনার রক্ত জমার বাধতে সাহায্য করে থাকে। 
  4. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃমেহগনি বীজের গুঁড়া রেগুলার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখ। মেহগনির বীজে থাকা পুষ্টি আমাদের শরীরের ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে। 
  5. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃমেহেগুনি গাছের বীজের গুঁড়ো করে খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। 
  6. জ্বর ও ঠান্ডা নিরাময়ের কাজ করেঃমেহগনির বীজ থাকা পুষ্টি আমাদের জ্বর সর্দি কাশি ভালো করতে সাহায্য করে থাকে। দিনে এক থেকে দুই চামচ মেহেগুনি বীজের গুঁড় খেলে জ্বর ঠান্ডা থেকে নিরাপদ থাকা যায। 
  7. একজিমা জন্য ভালো কাজ করেঃএকজিমে একটি ভয়ঙ্কর ধরনের রোগ, একজিমা রোগের জন্য মেহগনি বীজ এর গুঁড়া আপনার যে জায়গায় একটি মেয়ে হয়েছে সেখানে পানির সঙ্গে পেস্ট করে লাগালে, একজিমা ভালো হয়ে যায়।
  8. হাইপার টেনশন দূর করেঃহাইপার টেনশনের জন্য মেহগনি গাছের বীজ নিন ৩টা থেকে ৪ টা, এগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে বাসি পেটে খেয়ে নিন, আশা করি আপনার হাইপার টেনশন দূর করতে সাহায্য করবে। 
  9. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃমেহগুনের বীজ আমাদের শরীরের রক্তের সরকরার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন রাতে খাওয়ার আগে মেয়েগুলি বীজের গুরা কুসুম পানি দিয়ে ভিজিয়ে খেয়ে নিন আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
  10. ঋতুর সাবের ব্যথা কমায়ঃঋতুর সাহেবের ব্যথা কমানোর জন্য মেহেগুনি বীজ খুবই কার্যকরী উপাদান। ঋতুর সবে শুরু থেকে মেয়ের গুনি বীজের পাউডার করে খেলে ঋতু সাবের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

মেহগনি বীজ খাওয়ার নিয়ম

মেহেগুনি বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাটা আমাদের সকলের জরুরী। এবং মেহগনি বীজ কি কি উপাদান রয়েছে এবং খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। শুধুমাত্র মেহগনি বীজ খাওয়ার নিয়ম জানলে হবে না, তা খেলে কি কি উপকার রয়েছে সে সম্পর্কে জানাটা আমাদের জরুরী। আর কোন কোন পায়ে খেলে আমাদের কি কি প্রতিকার হয় সে সম্পর্কেও জানা জরুরী।

মেহগনি বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। আপনি দুই চা চামচ মেহেগুনি বীজের গুঁড়া এবং তার সাথে এক চামচ মধু হালকা কুসুম পানিতে মিশিয়ে খেলে আপনার জ্বর সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও মেহেগুনি বীজ হালকা কুসুম পানিতে লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আপনার খাবারের রুচি বাড়ে, খোদা বাড়ায় এবং আপনার রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
মেহগনি-গাছের-বীজের-১০-টি-উপকারিতা

মেহগনি বীজ খেলে কি হয়

মেহেগুনী বীজ খেলে কি হয় সেটা জানার আগে আমাদেরকে জানতে হবে মেয়েগুনি বীজের উপকারিতা সম্পর্কে। মেয়েগুলি বীজ এ রয়েছে প্রাকৃতিক ভেষজ ওষুধে ভরপুর। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং আমাদের বিভিন্ন রোগের সাথে মোকাবেলা করতে সাহায্য করে থাকে। প্রায় সময় আমাদের জ্বর সর্দি কাশি লেগে থাকে, কিন্তু মেয়েগুণী বীজর গুঁড়া করে খেলে আমাদের এই অসুখগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মেয়েগুলি বীজের আরো অনেক কার্যকরী ঠিক রয়েছে, যেমন আপনি আপনার ফসলের জন্য মেহগনি বীজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার ফসলের নানা ধরনের পোকামাকড় দমনের কাজে মেয়েগুনি বীজের উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক তৈরির কাজে মেহেগুনি বীজ অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। মেয়েগুলি বীজ খেলে নানান ধরনের অসুখ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

মেহগনি গাছের পাতার উপকারিতা

মেহেরগুনি গাছের পাতা আমাদের কোন কোন উপকারে আসে সে সম্পর্কে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত। মেহগনি একটি উপকারী গাছ। আমরা উপরে মেহগনি গাছের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়েছি। এখন জেনে নেওয়া যাক মেয়েগুনি গাছের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। থেকে চলুন জেনে নেওয়া যাক মেহগনি গাছের পাতার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে। 
আরও পরুনঃকাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
  • ঔষধি গুণঃমেহেগুনি গাছের পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফর্মেন্টারি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এর জন্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
  • ত্বকের যত্নেঃ মেহগনি গাছের পাতা থেকে তৈরি করা পেস্ট আমাদের ত্বকের ইনফরমেশন এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর জন্য মেহগনি গাছের পাতা আমাদের ত্বকের জন্য উপকারি।
  • হজমের উন্নতিঃ মেহগনি গাছের পাতা আমাদের পেটের নানা সমস্যার সমাধান করে থাকে।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হজম শক্তি বাড়ানো। মেহগনি পাতা বেটে পেস্ট করে নিয়ে কিছুটা মধুর সঙ্গে খেলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ানোর সাহায্য করে থাকে। 
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃবিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে ডায়াবেটিসের জন্য মেহগনি গাছের পাতা খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। যা আমাদের ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে থাকে। 
  • জ্বর সর্দি কাশিঃজ্বর সর্দি কাশি আমাদের শরীরের একটি অপছন্দীয় রোগ, মেহগনি গাছের পাতা বেটে খেলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

মেহগনি গাছের অপকারিতা 

আমাদের সকলেরই মেহগনি গাছের অপকারিতা সম্পর্কে জানা জরুরী। মেহগনি গাছের বীজের অপকারিতা কারিতা সম্পর্কে সবাই জানলেও মেহগনি গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের কারোই জানা নেই। জেনে নেওয়া যাক মেহগনি গাছের অপকারিতা সম্পর্কে। 
  • হাঁস মুরগির জন্য মেহগনি গাছটি খুবই ক্ষতিকর। 
  • মেহগনি গাছের পাতা পানিতে পড়লে পানি দূষিত হয়ে যায়। 
  • মেহগনি কাছে এক ধরনের বিষাক্ত রস রয়েছে যা মাটিতে পড়লে মাটির উর্বরতা কমে যায়। 
  • মেহেগনি গাছের পাতা যেখানে পরে সেখান করা মাটির উপকার এবং অপকার দুটোই নষ্ট করে দেয়। 
  • মেহেগুনি পাতার রস খেয়ে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ বেঁচে থাকে।
  • মেহেগুনি গাছের ফল যেহেতু পাখি খেতে পারে না, তাই কোন ধরনের পাখি মেহেগুনি গাছে বাসা বাঁধে না।
  •  কোন পুকুর পাড়ে মেহগনি গাছ থাকলে, যদি মেহগনি গাছের পাতা পুকুরে পড়ে তাহলে পুকুরে পানি দূষিত হয়ে যায়। 

মেহগনি গাছের বীজ দিয়ে কীটনাশক তৈরির পদ্ধতি 

মেহগনি গাছের বিষ দিয়ে কীটনাশক তৈরির পদ্ধতি আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। আর মেহেগুনি গাছের বীজের কীটনাশক আমাদের জন্য কতটা উপকারী সেটা জানার আমাদের জরুরী। আসুন জেনে নেওয়া যাক মেহগনি গাছের বীজ দিয়ে তৈরি কীটনাশক আমাদের কি কি কাজে লাগে।আর মেহগনি গাছের বীজ দিয়ে কীটনাশক তৈরির পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা হলো। 

প্রথম পদ্ধতিঃ

প্রথমে দুই থেকে তিন কেজি মেহগনির বীজ সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করা বীজগুলো থেঁতো করে নিতে হবে। এবং ১০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে তিন থেকে চার দিন। তারপর সেগুলো ছেকে নিতে হবে। তারপর ওই পানিগুলো ৫০ গ্রাম ডিটারজেন্ট পাউডারের সাথে মিশিয়ে ফসলে এক্সপে করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। 

ওই থেত করার রসগুলো ধানের ক্ষেতের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া ধানের নষ্টকারী পোকা গুলোর জন্য যম হয়ে দাঁড়ায়। কোন কোন পোকা গুলো দূর হয় তার তালিকা দেওয়া হলঃ যেমন, মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো, গাছ বাদামি করা বা ফড়িং ইত্যাদি দূর করার জন্য খুবই কার্যকর। 

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ

দ্বিতীয় ধাপে মেহগনি গাছের বীজে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম গুরু ভালোভাবে থেঁতো করে নিতে হবে এবং তার সাথে গাছের বাকুল মিশাতে হবে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট জল দিতে হবে। জল দাও পানি গুলো ছেঁকে নিতে হবে, তারপর ৫০ গ্রাম পানি এবং তার সাথে ডিটারজেন্ট পাউডার পাঁচগ্রাম মিশিয়ে যেকোনো ফসলে এক্সরে করলে ফসলের পোকা দমন করে এবং ফসল ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। 

তৃতীয় পদ্ধতিঃ

প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম মেহগনি বীজ খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে এবং এক লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এভাবে তিন থেকে চারদিন ভিজিয়ে রাখার পর ওই পানিগুলো সে কে নিয়ে অল্প কিছু ডিটারজেন্ট পাউডারের সঙ্গে যে কোন ফসলে এক্সপ্রে করলে ভালো রেজাল্ট দেখতে পাওয়া যায়। 

মেহগনি-গাছের-বীজের-১০-টি-উপকারিতা


মেহগনি গাছ জন্মাতে কত সময় লাগে 

একটি মেহগনি গাছ পরিপূর্ণ বয়স হতে ২০ থেকে ৩০ বছর সময় লাগে। কিন্তু তিন থেকে চার বছর পর থেকে মেহগনি গাছের ফল আসতে শুরু করে।এবং সে ফল আমাদের বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন হয়। একটি মেহগনি গাছ আপনি ২০ থেকে ৩০ বছর পর কাটলে প্রায় আশি থেকে এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। মেহগনি গাছ থাকলে আপনার ফসলের বিভিন্ন কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। 

মেহগনি গাছ লাগানোর নিয়ম কি 

মেহগনি গাছ লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সকলেরই জানা আছে। কিন্তু কোন জায়গায় লাগালে উচিত তাড়াতাড়ি মেহগনি গাছ বৃদ্ধি পায় সেটা আমাদের কারো জানা নেই। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন জায়গা লাগালে মেহগনি গাছ অতি তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। মেহগনি গাছ লাগানোর আগে আপনাকে দেখতে হবে দিনে চায়ের থেকে ৫ ঘন্টা কোন জায়গায় রোদের আদ্রতা দেখতে পাওয়া যায় সেই জায়গায় মেহগনি গাছটি লাগাতে হবে। 

আপনি যদি ফাঁকা জায়গায় মেহগনি গাছ লাগান তাহলে অতি তাড়াতাড়ি মেহগনি গাছ বৃদ্ধি পায়। যদি আপনার গাছে আলো বাতাস না লাগে তাহলে কিভাবে আপনার মেহগনি গাছ বৃদ্ধি পাবে। তাই গাছ লাগানোর জন্য এমন জায়গায় নির্বাচন করুন যেখানে দিনে পাঁচ থেকে সাত ঘন্টা রোদের আদ্রতা বেশি থাকে। 

মেহগনি গাছ কত বছর বাঁচে 

মেহগনি গাছ কত বছর বাঁচে এটা আমাদের কারোই জানা নেই। যদি আপনার গাছটি সঠিক আদ্রতা এবং সঠিক জায়গায় থাকে তাহলে ৫০থেকে ১০০বছর বেঁচে থাকে। আবার বিভিন্ন আদ্রতা এবং বিভিন্ন জায়গার উপর নির্ভর করে ১৫০বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে তার জন্য দরকার সঠিক আবহাওয়া, সঠিক আদ্রতা, উপযুক্ত মাটি। 

মেহগনি কাঠ দিয়ে কি কি তৈরি হয় 

আমাদের প্রত্যেকজনের জানা আছে মেহেবুনি কাঠ দিয়ে কি কি তৈরি করা যায়। বর্তমান সময়ের সব কাঠের থেকে মেহগনি কাঠের দাম অনেক বেশি। মেহগনি কাঠ অনেক মজবুত হওয়ার কারণে তার চাহিদা অনেক বেশি থাকে। প্রত্যেক সময় আমাদের ঘরবাড়ি আসবে তৈরি করার জন্য মেহগনি কাঠ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেহগনি কাঠ দিয়ে নানান ধরনের আসবাবপত্র তৈরি হয়ে থাকে। যেমন, খাট, চেয়ার টেবিল, ডেসিন টেবিল, দরজা, জানালা, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্। 

উপসংহার 

পরিশেষে বলা যায় যে,মেহগনি গাছের বীজে ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আরো আলোচনা করা হয়েছে মেহগনি গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। মেহগনি গাছ থেকে কি কি ওষুধ তৈরি হয়।এবং মেহগনি বীজ খেলে আমাদের কি কি অসুখ দূর হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url